মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ - ২৩:৩৮
সেই নবজাতক, যার জন্ম আহলে বাইত (আ.)-এর জন্য সর্বাধিক আনন্দ বয়ে এনেছিল

এমন এক শুভ জন্ম, যা শুধু একটি শিশুর আগমনই ছিল না; বরং তা সন্দেহ, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে ইমামতের ধারাবাহিকতাকে সুস্পষ্ট করে দেয়। কিছু বর্ণনার আলোকে বলা হয়েছে, ইমাম মুহাম্মদ তাকী আল-জাওয়াদ (আ.)-এর জন্ম আহলে বাইত (আ.)-এর জন্য সর্বাধিক আনন্দের কারণ হয়েছিল। কারণ এই জন্ম ইমাম রেজা (আ.)-এর সন্তান হওয়া নিয়ে সৃষ্ট প্রশ্ন ও সংশয় দূর করে শিয়া সমাজকে নতুন আশা ও নিশ্চিততা দান করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুম আল্লামা মিসবাহ ইয়াজদী তাঁর এক বক্তৃতায় “ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর অতিরিক্ত বরকতসমূহ” শিরোনামে আলোচনা করেছিলেন। সেই বক্তব্য সম্মানিত পাঠকদের জন্য এখানে উপস্থাপন করা হলো:

কিছু বর্ণনা অনুযায়ী, এমন কোনো নবজাতকের জন্ম নেই যা আহলে বাইত (আ.) এবং তাঁদের অনুসারীদের জন্য ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর জন্মের মতো এত আনন্দ বয়ে এনেছে। কারণ ইমাম রেজা (আ.)-এর সন্তান হওয়া নিয়ে শত্রুপক্ষ নানা শঙ্কা ও গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল।

এমনকি কিছু অজ্ঞ বন্ধু এসব অপপ্রচারের প্রভাবে সন্দেহ ও বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর জন্মের পরও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিল যে তিনি আদৌ ইমাম রেজা (আ.)-এর প্রকৃত সন্তান কি না।

যাই হোক, অন্যান্য নিষ্পাপ ইমামগণের (আ.) মতো ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর জন্মেও ছিল বহু বরকত। তবে তাঁর জন্ম বিশেষভাবে শিয়া সমাজের জন্য এক অতিরিক্ত বরকত বয়ে আনে এবং ইমাম রেজা (আ.)-এর পর ইমামতের বিষয়টি সুস্পষ্ট ও নির্দিষ্ট করে তোলে।

অতএব, আমরা বিনীতভাবে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানাই— এই মহান নবজাতকের বরকতে তিনি সকল মুসলমান, শিয়া এবং আহলে বাইতের বন্ধুদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ দান করুন। ব্যক্তি, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সকল সমস্যায় তারা আক্রান্ত, তা এই মহামানবের সদকায় দূর করে দিন। আর আমাদের ঈদের শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে তাঁর বংশধর ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর আবির্ভাব ত্বরান্বিত করুন—ইনশাআল্লাহ।

সূত্র: বক্তৃতা, তারিখ: ৯/০২/৯৪ ইরানি বর্ষপঞ্জি (১৫ এপ্রিল, ২০১৫)।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha